প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে অতিদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে ঘর এবং পরিচয়। আজ শুক্রবার (১৭ই মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি এ সময় জানান, সরকার গ্রাম অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে চেয়েছে বলেই দেশে শিল্প উৎপাদন বেড়ে গেছে। কারণ গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে পণ্যের চাহিদা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের গ্রামে দারিদ্রে হাহাকার, থাকার জায়গা নেই, খাওয়া কিছু নেই এই কষ্টগুলো বাবাকে ব্যথিত করেছে এবং সেজন্যই তিনি জীবনের সবকিছু ত্যাগ করে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করে গেছেন।’
তিনি এ সময় আফসোস করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন, যুদ্ধ আর ডলার সঙ্কট না থাকলে অর্থনীতি আরও গতি পেত। তিনি এ সময় অর্থনীতিবিদদের গ্রাম অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদনের মাধ্যমে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবেই। কারো কাছে হাত পেতে নয়। আমরা যেসব পরিকল্পনা নিয়েছি, তাতে অর্থনীতির এই চাপ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে পারবো।’
উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছানোর পরে দেশের অর্থননীতি নতুন কিছু চ্যালেঞ্জ আর সুযোগের মুখোমুখি হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। আমার কিন্তু তা নেই। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছি। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। এতটুকু বুঝি কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেই আমি এটা শিখেছি। তিনি তো বেশিরভাগ সময়ই জেলে থাকতেন। যতক্ষণ বাইরে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে গল্প করতেন- কীভাবে তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চান, কীভাবে গ্রামগুলোকে সাজাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। এ দেশে মানুষ অন্তত দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে বাঁচবে, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। উন্নত জীবন পাবে, এটাই ছিল তার স্বপ্ন।