উজানের ঢলে দ্রুত তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বাংলাদেশ অংশের রংপুরসহ ৫ জেলায় তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সে. মি. ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা থাকায় রংপুর জেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পারের মানুষদের সতর্ক করতে মাইকিং করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পাউবো আরও জানায়, তিস্তার পানি বাংলাদেশের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার বিকাল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে বলা হয়েছে, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সে দেশের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এ জন্য তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তিস্তা অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের ভাটিতে পানি কম থাকায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে এবং পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পানি সমতলের (৫২ দশমিক ৮৪ মিটার) কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।

বর্তমানে কোনো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে না বলেও পাউবোর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে বগুড়া পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, ‘আজ বিকেল থেকেই তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করবে এবং উত্তরাঞ্চলে তিস্তার অববাহিকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।’