ঢাকা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে, পুরো দেশের মানুষই প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের শিকার হচ্ছেন। মঙ্গলবারের জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের পর এখনও বিদ্যুতের সরবরাহ আগের মাত্রায় উঠেনি। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর কয়েকটি উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায়, সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং আরও বেড়েছে। এতে অতিষ্ঠ মানুষ।

দেশে গড়ে এখন বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ১২ হাজার থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। সম্প্রতি জাতীয় গ্রিড লাইনে বিপর্যয়ের পর চাহিদার পরো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ঘাটতির কারণে গত তিন চার দিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিং আগের চেয়ে বেড়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবি সূত্রে জানা যায়, উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে গড়ে ২ থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। শুক্রবার বিদ্যুতের চাহিদা তুলণামূলক কিছুটা কম থাকলেও লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়নি মানুষ।

অক্টোবর মাসের শুরু থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। রাজধানীর কোথাও দুই ঘণ্টা, কোথাও বা দিনে-রাতে মিলে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।

বিতরণ কোম্পানি ও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাওয়ায় লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

বন্ধ থাকা তিনটি কেন্দ্র দ্রুত চালু করার চষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।