দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চা-শ্রমিকরা। আজ রোববার (২১শে আগস্ট) সকাল থেকে চা-শ্রমিকরা দলে দলে সমাবেশে জড়ো হন। দৈনিক মজুরি ৩০০টাকা করার দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি পদক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, সাধারণ চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি।

চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘আন্দোলন চলমান থাকবে। আমি তো শ্রমিকদের বাইরে যেতে পারবো না। আমরা বলেছিলাম কিন্তু শ্রমিকরা মানেননি। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রাখতে তখন আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু শ্রমিকরা না মানার কারণে আবারো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।’

জানা গেছে, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চারদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে চারদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা।

গত ২০ আগস্ট বিকেলে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বাগান মালিক প্রতিনিধি ও চা শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে তাদের দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন চা শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সন্ধ্যার পর ফের তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।