দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধমুখি প্রবণতা, তা অক্টোবর নাগাদ কমে আসবে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার (১৭ই আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমলেও বেড়েছে ডলারের মূল্য। এসবের সাথে সমন্বয় করেই আগামীতে ভোজ্য তেলের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। হঠাৎ করে ডিমের দাম বাড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
স¤প্রতি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে টিআইবি যে অভিযোগ তুলেছে, সেটা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ডিমের দাম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমরা কৃষি, খাদ্য ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসেছি। আলোচনা হচ্ছে, কিভাবে ডিমের দাম কমানো যায়। সব কিছু তো রাতারাতি কমানো সম্ভব নয়। এটা সত্যিকার অর্থে বিপজ্জনক, একটু সময় দেন আমরা চেষ্টা করছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানি করতে গেলে একটু সময় লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমন হয় যে, ডিম আমদানি করলে দাম কিছুটা কমবে তাহলে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো।
মন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের সচিব যাচ্ছেন বৈঠকে। সেখানে ডিমের দাম কেন বেশি হলো সেগুলো আলোচনা করে কোথায় সমস্যা হয়েছে সেটা আমরা দেখবো।
নিত্যপণ্যের দামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কি কি করছেন জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমাদের বিভিন্ন সময় এরকম সমস্যা হয়েছে। সেগুলোও আমরা চিহ্নিত করেছি। তবে দুই চার পাঁচ দিন সময় লেগেছে। আশা করছি এটারও একটা ফলাফল আমরা পাবো।
আইনের প্রয়োগ বা সুশাসন থাকলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেওয়ার সাহস পেতো কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয় কথা ঠিক। আর একটা কথাও ঠিক আমরা সেটা বিবেচনা করতেও চাই না। এখানে ছোট্ট একটা ব্যাপার রয়েছে। যেমন, ৮০ টাকায় পেঁয়াজ এনে ব্যবসায়ীরা ২০ টাকায় বিক্রি করেছে। তখনতো কেউ কিছু বলেনি। আসলে এটা চাহিদা ও সরবরাহের ব্যাপার। আমাদের যে সমস্যা হয়, আমরা সেটা বিবেচনা করার চেষ্টা করি না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ইস্যুতে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনেকেই আশাবাদী, অক্টোবরের মধ্যে হয়তো পরিস্থিতি… কতগুলো ফ্যাক্টর তো কাজ করে। এখন আমি জানি না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন।