নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা বাদ দেয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ শনিবার (২৭শে আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে, তিনি একথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিশেষ মহল সরকারবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে, এ বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। কোন ইস্যু খুঁজে না পেয়ে তারা এখন নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

নতুন শিক্ষাক্রমে ধর্মশিক্ষা সংকুচিত করার অভিযোগ তোলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। তার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে অনেকে এই প্রতিবাদ জানান।

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামি শিক্ষাকে সামষ্টিক মূল্যায়নে ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে বাদ দিয়ে মানবিক বিভাগে ঐচ্ছিক রেখে কৌশলে সংকুচিত করা হয়েছে। যার ফলে নীতি-নৈতিকতাহীন দুর্নীতিগ্রস্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে ওঠার দ্বার উন্মোচিত হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিধি আরও প্রসারিত হবে বলে মন্তব্য করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দক্ষতা, মূল্যবোধ প্রসারিত করতে আমরা কাজ করছি। এই শিক্ষাক্রমে ধর্ম, নৈতিকতা, মূল্যবোধ এগুলো একেবারেই অবিচ্ছেদ অংশ। এগুলো থাকছে।

ধর্মশিক্ষা বাদ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না উলে­খ করে তিনি বলেন, দক্ষতা ও জ্ঞানকে যেভাবে প্রসারিত করা হচ্ছে, সেখানে কোনো বিশেষ শিক্ষাকে সংকুচিত করার তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।