রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নানা অনিয়মের অভিযোগে সোমবার (০৪ মার্চ) ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে একটি ভবনে থাকা ১৪টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হয়।
ঝিগতলায় কেয়ারি ক্রিসেন্ট নামের একটি ভবন সিলগালা করে দেয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউক ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
অভিযান শেষে তাজিনা সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ভবনটি এফ-ওয়ান ক্যাটাগরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ওই ক্যাটাগরি অনুসারে ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু আমরা পরিদর্শনে মাত্র দুইটি ফ্লোরের কিছু অংশ অফিস হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি দেখলাম। বাকি অংশে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ১২ থেকে ১৫টি রেস্টুরেন্টকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সঙ্গে ওষুধ ও কাপড়ের দোকান পেয়েছি।’
নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভাড়া দেওয়ার কারণে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে রেস্টুরেন্টগুলো সিলগালা করে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর থেকে রাজধানীজুড়ে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। অভিযানে রেস্তোরাঁগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কিনা বা যথাযথ অনুমতি রয়েছে কিনা সেগুলা দেখা হচ্ছে। অভিযানে বিভিন্ন রেস্তোরায়ঁ অনিয়ম থাকার কারণে মোট ৩৫ জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনার পর গাউসিয়া টুইন পিক ভবনের স্থপতি নিজে ব্যবহারের ব্যত্যয়ের কারণে ভবনটিতে অগ্নিঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে সেখানে না যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এরপর থেকে ভবনটি ঘিরে আলোচনা জোরালো হয়।
এরপর রাজউকের অভিযানে নানান অনিয়মের অভিযোগে ধানমন্ডির এই ভবনে থাকা ১৪টি রেস্টুরেন্টের মধ্যে ১২টা সিলগালা করে দেয়া হয়, একটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও রুফটপে থাকা একটি রেস্টুরেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হয়।