ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এরপর অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এরপর থেকে বর্তমান পরিস্থিতি ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস।

বর্তমানে নানা সংকট মোকাবেলায় বিদেশী কূটনীতিকদের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিন্টোলে বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকে এই সহায়তা চানা প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ ও সে সময়কার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী নির্বিচারে হত্যা করেছে। আহতদের তারা সহায়তা করতে চান বলেও কূটনীতিকদের জানান।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি। এই সংকট মোকাবেলায় আপনারা আমাদের সহায়তা করেছেন। বর্তমান সংকট মোকাবেলা করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে কৃতজ্ঞ, সংকটকালীন তারা আমাদের সহায়তা করেছে। বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছি। দুই সপ্তাহ হলো বাংলাদেশে দ্বিতীয় বিপ্লব সাধিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার জন্য ছাত্রজনতা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শত শত মানুষ মারা গেছে, হাজার হাজার মানুষ আহত। আমি আশা করি- আপনারা আমাদের সহায়তা করতে পারেন। অনেক শিক্ষার্থী বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। অনেকের রাবার বুলেট চোখে লেগেছে।

ড. ইউনূস বলেন, আমি তরুণদের সম্মান জানাই, যারা দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন। গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের জন্য তারা আত্মত্যাগ করেছেন। বৈষম্যহীন, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ চায় তরুণ সমাজ।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নতুন এ সরকার গঠনের পর বিদেশি কূটনীতিকদের একবার ব্রিফ করেছিলেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ওই ব্রিফিংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।