বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বর্তমান বাজেট তারই রূপকল্প বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সংসদে বাজেট পাস অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দিকনির্দেশনা ও নির্বাচনী ইশতেহারের ওয়াদা এই বাজেটে উঠে এসেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বাজেট নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা উচ্চাভিলাষী বাজেট নয়। একটা বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট। এ বাজেট বাস্তবায়ন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নের গতিধারা ধরে রাখার জন্যই এই বাজেট।’ এখানে কমানোর কিছু নাই বলেও জানান তিনি।

বৈদেশেকি ঋণের প্রসঙ্গে এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ হাত পেতে নেওয়ার বাংলাদেশ নয়। ঋণ নিয়ে তা সময়মতো শোধ করে বাংলাদেশ। এখন আর দেশে কোথাও মঙ্গা , দুর্ভিক্ষ নেই। ২০০৯ থেকে এই পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আওয়ামী লীগ সরকার ধরে রেখেছে। যা সারা বিশ্বের কোন দেশে কেউ ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বের উচ্চপ্রবৃদ্ধি যারা ধরে রেখেছে তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ এখন ৩৩ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে চলতে হচ্ছে এই সরকারকে। এর সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশে বিভিন্ন নিত্য পণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে। তারপরেও সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলেছে।’ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা অতি শীঘ্রই কাজে লাগবে বলে তিনি মনে করেন। বাজারের থেকে কম মূল্যে চাল ডালসহ বিভিন্ন পণ্য সময়মতো সরবরাহ করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবকিছু মোকাবেলা করে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত রয়েছে প্রবৃদ্ধি। ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে যে পরিবর্তন আসবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা তার। এই সময়ের মধ্যে স্মার্ট মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সরকার সবধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, নারী পুরুষ সমানভাবে না এগোলে একটি দেশ উন্নত হতে পারেনা বা এগোতে পারে না। মেট্রোরেলের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীরা মেট্রোরেলের বিরোধীতা করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, কোন দরকার ছিল না মেট্রোরেলের। এখন বুদ্ধিজীবীরা কি বলে মেট্রোরেল নিয়ে। দেখা হলে জিজ্ঞেস করতে চান তিনি। চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকার মধ্যে কোন যানজট থাকবেনা। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ফেনী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত  সরকারের মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন তিনি। উল্লেখ করেন মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রেল করার পরিকল্পনাও রছে।