ঢাকার নবাবগঞ্জে কুয়েত প্রবাসী জামাইকে আনতে গিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন আবুল কাশেম খান, তার নাতনি আট বছর বয়সী ফারহানা আক্তার ও মনির খান বিল্লাল। আহতরা হলেন কুয়েত ফেরত, তার স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছয় বছর বয়সী ফাহিমা আক্তার। তিনজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত মনির খানের ভাই রাশেদ খান বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের জামাই লাভলু কুয়েতে ছিলেন। আজ সকালে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ভোরে মাইক্রোবাসে আমরা এয়ারপোর্ট থেকে লাভলুকে নিয়ে সবাই বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। ঢাকার নবাবগঞ্জের বাগপারা এলাকায় পৌঁছালে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় কয়েকজন আহত হয়।

‘আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালেই দুজনকে মৃত বলে জানানো হয়। আর গুরুতর আহত অবস্থায় মনির খানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বাড়ি ঢাকা জেলার দোহার থানার রায়পুরা গ্রামে।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল খান বলেন, ‘মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে চারজনকে নিয়ে এলে একজন মারা যান। তিনজন চিকিৎসাধীন। মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।