নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেছেন, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। আর জানুয়ারির শুরুতে ভোটগ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের শ্রীপুরে স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের আশা করছেন এই নির্বাচন কমিশনার।
আনিছুর রহমান বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আমরা আগেও বলেছি নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে করা হবে। সংবিধানের মধ্য থেকে আমরা সব কিছু করছি। আমরা নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ কিন্তু আমাদের ওপর নির্ভর করে না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এতে আমাদের এখতিয়ার নেই। তবে আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করব। আমাদের দেড় বছর পার হয়েছে। শুরু থেকেই নির্বাচনের পরিবেশের জন্য আমরা সব দলকে একাধিকবার আহ্বান জানিয়ে আসছি। এখনো আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়।
মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভিসানীতির বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই, এমনকি কোনো বক্তব্যও নেই। কারণ এটা সরকারের বিষয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর বেশ কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ভোট হবে না দাবি করে সব নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়রি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে পরের বছর জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচন শেষ করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির।
কিন্তু বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো সরকারের পদত্যাগ ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার দাবিতে অনড় অবস্থানে আছেন। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আয়োজনে অনড় অবস্থানে আওয়ামী লীগও। ফলে সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কি না তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থার মধ্যে তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের কথা জানান ইসি আনিছুর রহমান।