নাইজেরিয়ায় কাস্টিনা রাজ্যে বন্দুকধারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ৪০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। আজ (শনিবার) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে ডাকাত হিসেবে পরিচিত একটি সশস্ত্র দল (বৃহস্পতিবার) দেশটির বাকোরি গ্রামে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় এবং গ্রামের গবাদিপশু লুট করে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী ওই বন্দুকধারীদের খুঁজতে জঙ্গলে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অশঙ্কাজনক।

দেশটির পুলিশ বলছে, অভিযুক্তদের খুঁজতে যৌথ অভিযান চলছে। তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

নিরাপত্তাবিষয়ক দুটি সূত্রে জানা গেছে, কাতসিনায় সংঘের্ষ নিহতের সংখ্যা ৫০। শুক্রবার মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

কাতসিনা হলো দেশটির উত্তরের রাজ্যগুলোর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রাজ্য। এই অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। প্রায় লোকজনকে অপহরণ করে আটকে রেখে চাঁদাও দাবি করে তারা।

আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর মাঝে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশটির সাধারণ ভোটাররা। দেশটিতে গত ৮ বছর ধরে সাবেক সেনাপ্রধান মুহাম্মদ বুহারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আছেন।

কাতসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা ইব্রাহিম আহমেদ বলেছেন, স্থানীয়দের নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।

প্রতিবেশী দেশ মালি ও বারকিনা ফাসোর মতো নাইজেরিয়াও ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদা ও আইএসের নিয়মিত টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।

২০১২ ও ২০১৩ সালের পর থেকে আফ্রিকার বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এরপর থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গ্রামগুলোতে অভিযান চালিয়ে অপহরণ, গরু চুরি ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। তাছাড়া প্রায়ই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।