ম্যাচ শেষ হতে কয়েক সেকেন্ডই বাকি ছিল। যোগ করা সময়ের সেই কয়েক সেকেন্ড শেষ হলেই ড্রয়ে মাঠ ছাড়তেন বাংলাদেশ ও নেপালের মেয়েরা। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ। নির্ধারিত সময় খেলা শেষে স্কোরলাইন বাংলাদেশ ২- ২ নেপাল। ৭ মিনিট ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। সেই খেলারও ইনজুরি সময়ে গোল করে নাটকীয়ভাবে জয় পায় বাংলাদেশ। অন্তিম মুহুর্তে কাউন্টার অ্যাটাকে উমহেলার বাড়ানো পাসে বক্সের মধ্যে দারুণ ফিনিশিং করেন তৃষ্ণা।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছিল। ২ গোল করলেও সুযোগ ছিল আরো বেশি করার। ১৪ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে সাগরিকার পাস পান মুনকি। নেপালের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলে শট নিলে গোলরক্ষকের পায়ের ফাক দিয়ে বল গোললাইন ক্রসের মুহুর্তে নেপালের গঙ্গা রোকায়া। ঐ বল আবার জালে পাঠান শিখা। ৩৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির ক্রস শিখার শট নেপালের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরত আসলে সেই বল জালে পাঠান সাগরিকা।
এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ ছিল অনেক ঘটনাবহুল। ৫৪ মিনিটে দুই দলের একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেন। বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড সাগরিকাকে বাধা দেন নেপালের ডিফেন্ডার। এক পর্যায়ে তিনি মেজাজ হারিয়ে সাগরিকাকে আঘাত করেন। আবার সাগরিকাও হাতাহাতিতে জড়ান। এতে রেফারি দুই জনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান।
সাগরিকা মাঠ ছাড়ার পর বাংলাদেশ একটু পিছিয়ে পড়ে। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার খেলোয়াড় ও কৌশল বদল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চাইলেও পারেননি। নেপাল বাংলাদেশকে দশ জন নিয়েই চাপে ফেলে। ৭৫ মিনিটে নেপাল পেনাল্টি পায়। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় ফেরে হিমালয়ের দেশটি।
৮৬ মিনিটে এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে নেপাল সমতা আনে। ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা রাণীর দারুণ ফিনিশিং গোলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।