বিএনপি সংলাপের পথ বন্ধ করেনি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনা হলে তাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিষয়টি স্পস্ট করেন। এসময় তিনি অভিযোগ করেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশকে সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দলের নেতাকর্মীদের আবারও গ্রেপ্তার, নির্যাতন শুরু করেছে।

দেশের সবশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম-স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি। এতে বলা হয়, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিকিৎসকদের মতামতের পর দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উদ্বিগ্ন। বেগম জিয়ার জীবন রক্ষায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পথে অমানবিক বাধা দূর করার আহ্বান জানানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। সরকারের পদলেহনকারী কয়েক দল ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল বলেনি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সরকার দেশকে সাংঘর্ষিক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আবার সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি করে ’১৪ ও ’১৮ মতো একতরফা নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ সেটা হতে দিবে না।

সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল কোনো মতামত দেয়নি। আমরা পরিষ্কার বলেছি, এই পরিস্থিতিতে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে আলোচনা চায় তাহলে বিএনপি সেই আলোচনায় অংশ নিতে রাজি আছে।

বিএনপি নেতা এ্যানীকে বাসার দরজা ভেঙে ডাকাতের মতো পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। এ্যানীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তার কোনো ক্ষতি হলে সরকার জনরোষের স্বীকার হবে। তাই অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।