হাঁকডাক দিয়ে সরকারের পরিবর্তন হবে না, নির্বাচনের মাঠে এসে জনগণের সমর্থন পাওয়াই পরিবর্তনের একমাত্র পথ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ (রোববার) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। নির্বাচনে আসুন। পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসেন। এখনও বলছি জনগণ ভোট না দিলে আমরা নাই। জনগনের ভোটেই (ক্ষমতা) পরিবর্তন হবে। হাকডাক দিয়ে পরিবর্তন হয় না।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের এতো আওয়াজ, এতো লাল কার্ড কোথায় গেলো? সব গোলাপবাগের গরুর হাটে। বিএনপির আন্দোলন গুরুতর আহত। মাঝে মাঝে মনে হয় পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে। এতো লাফালাফি পতনটা নিজেদেরই হবে। অপেক্ষা করুন। ধৈর্য্য ধরুন। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি করে যাবো। কোনো পাল্টপাল্টি নয়। আমরা এক বছরের কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, কখনো শান্তি সমাবেশ, কখনো সম্মেলন, কখনো গণসংযোগ।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি ষড়যন্ত্র করে দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়। এসব অপশক্তিকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলনের স্রোত হারিয়ে গেছে। তাদের আন্দোলন এখন গুরুতর আহত। ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন ফিরে পেতে বিএনপি মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এত লাফালাফি করছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিবাস্বপ্ন দেখে কোনো লাভ নেই। বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ চায় না।
এসময় বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয়ে যায় কোনো রকম একটা সমাবেশ। সমাবেশ হয় আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ। বিএনপির মহাসমাবেশ কোনো রকম সমাবেশ হতেও কষ্ট হয়। বিএনপি এ পর্যন্ত যতটা সমাবেশ করেছে, হাওর-বাওড়ের এলাকা সুনামগঞ্জে দুপুরে তার চেয়ে বেশি মানুষ হয়েছে।
বিএনপির পাল্টাপাল্টি নয় বরং নির্বাচন পর্যন্ত নিজেদের নানা কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।