বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক। আমরা চাই তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসুক। এ পর্যন্ত সব ভোট সুষ্ঠু করে আসছি সামনেও ভোট সুষ্ঠু করবো ইনশাআল্লাহ। রোববার (১৫ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকেদর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য তফসিল ঘোষণার পর যেন কোনো রাজনৈতিক মামলা বা আটক করা না হয়। কারও বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করুন। তফসিল ঘোষণার পর যেন গ্রেপ্তার করা না হয়।

এ সময় তিনি বলেন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসকরা নির্বাচনে আমাদের কথামতো কাজ করবেন।

ইসি আলমগীর আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব নিয়েছি দলীয় সরকারের অধীনে। সংবিধানের দৃষ্টিতে ভোটে কোনো বাধা দেখছে না নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ইস্যুতে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না।

ভোটের পরিবেশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আমাদের তো দেখি সব ঠিকঠাক আছে। সংবিধানে ইসিকে দায়িত্ব দেওয়া আছে চলমান সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্বের নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ক্ষণ গণনা করে আমরা যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করছি। এখন শুধু তফসিল ঘোষণা বাকি আছে। সবাই নির্বাচন চাচ্ছে। ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনের পক্ষে।

ফসিল ও ভোট প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, কমিশন এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে নভেম্বরে তফসিল হবে। ভোট ডিসেম্বর না জানুয়ারিতে হবে সেটা আগে ঠিক হবে। সংবিধান অনুযায়ী, ভোট করতে যাবতীয় কাজ শেষ করেছি। রোডম্যাপ করেছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সব প্রস্তুতি শেষ। সবাই নির্বাচন চায়, ৪৪ দল আমাদের সঙ্গে আছে। বিএনপিরটা ভিন্ন ইস্যু। রাজপথের সমস্যা উনারা সমাধান করবেন। আমরা সাংবিধানিকভাবে কাজ করছি, এর বাইরে যাওয়ার কোনো পথ নেই।

ডিসি, এসপিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যেন ডিসি, এসপিরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন, সেটা বলা হয়েছে। আমাদের নির্দেশনা অমান্য করেছে এমন তো পাইনি এতদিন যত নির্বাচন করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাদের ছাড় দেইনি।

দলীয় সরকারের অধীনে ভোট, নিয়ন্ত্রণ তাহলে আপনাদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হ্যাঁ, রিটার্নিং অফিসাররা (ডিসি) তো আমাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে।

বিএনপি না এলে কি খারাপ লাগবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা চাই সবাই নির্বাচনে আসবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করে আসছি। আগামীতেও সুষ্ঠু নির্বাচন করব।