নানান নাটকীয়তার পর অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন, সরকারের আশ্বাসে ও কার্যক্রমে বোঝা যাচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাই জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। ২৮৩ আসনে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি, নির্বাচন বর্জন করবে না।
নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অর্থবহ হয় সেই লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান মুজিবুল হক চুন্নু।
জাপা মহাসচিব বলেন, আমরা ২৮৩টি আসনে নির্বাচন করবো। বেশ কয়েকটি আসনে সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। সমঝোতা হলে আপনাদের জানিয়ে দেব।
সমঝোতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনা আমাদের দলীয় কৌশল। সে বিষয়ে আপনাদের বলব না।
রোববার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার শেষ দিন। এদিন সকালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে কি না তা নিয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে সংশয় ছিল।
এদিন সকালে বনানীতে নিজ কার্যালয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এরপর দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে নাকি করবে না, তা বিকেলের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে। দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা হওয়ার পরও নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে জাতীয় পার্টিতে দ্বিধাদন্ধ দেখা দিয়েছিল। রওশন এরশাদপন্থীদের সঙ্গে জিএম কাদেরপন্থীদের নির্বাচন কমিশনে পাল্টাপাল্টি চিঠি আদান-প্রদানসহ নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও মনোনয় ফরম বিক্রি ও প্রার্থী চূড়ান্ত করেছিল দলটি।