রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিগত দেড় দশক ধরে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে দেশের গণতন্ত্র আজ নিরাপদ ও সুসংহত। আজ (শুক্রবার) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাকা বিশেষ সংসদ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। এতে সভাপতিত্ব করছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে শুরুতে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে তাকে ভাষণ দেয়ার সুযোগ করে দেয়ায় স্পিকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি আনন্দঘণ এবং অবিস্মরণীয় মুহূর্ত।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ক্ষমতায় যাওয়া বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে তোলে। সংঘাত ভুলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে আমাদের সবার সহায়তা করা উচিত। রাজনীতি থেকে হিংসা-হানাহানি অবসানের মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে হবে। প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মহান সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশের জনগণ নিরপেক্ষভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ ও বেগবান করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও উন্নয়নকে সমান গুরুত্ব দিতেন। বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী ও অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা দিন দিন কমছে। তাই জাতীয় সংসদের ইতিহাস নতুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এই বিশেষ অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এসময় সংসদ সদস্যদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর রীতিনীতি, কর্মকৌশল এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গণতন্ত্রের পথ মসৃণ ছিল না। গণতন্ত্রের পথে যখনই বাধা এসেছে তখনই এর প্রভাব পড়েছে সংসদের ওপর। বিগত দেড় দশকে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব যোগ্যতা অর্জন করেছে। তার নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র আজ নিরাপদ ও সুরক্ষিত।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে আমি নিজেকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।