নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আস্থা অর্জনে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসবে ইসি। শুক্রবার (২০ মে) সকালে সাভার উপজেলা মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করে সিইসি বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেয়া হলে প্রতিবাদ করতে হবে। আজ শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম।

অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা প্রয়োজন। ভোটাধিকার নিশ্চিতে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। নির্বাচনে সহিংসতার সংস্কৃতির অবসান চায়।

সিইসি আরও বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর সক্ষমতা কতটুকু দরকার, আরও কী কী করা যায় তা নিয়ে ভাবছি। সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আমরা কাজ করবো।’

ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য তিন ধরনের তথ্য নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘২০২৩ সালের ২ মার্চ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে। এই ভোটার তালিকা দিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এই ভোটার তালিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, ট্রান্সজেন্ডার ও নিষিদ্ধ পল্লীর মা-বোনদেরও কিন্তু এই তালিকায় আনার জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। কীভাবে নিয়ে আসবেন সে বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণও দিয়েছি।’

পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিইসি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাভারের একটি বাড়িতে তথ্য সংগ্রহের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এসময় তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনে দ্রুতই তাদের সাথে সংলাপে বসবে ইসি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রথম ধাপে ১৪০ উপজেলা ও থানায় তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। এবার তথ্য নেয়া হচ্ছে ২০০৭ সালে পহেলা জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্ম নিয়েছেন, তাদের।