বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে। এছাড়া নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজ নাগরিকদের বিক্ষোভ ও জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলতে বলেছে মার্কিন প্রশাসন।
বাংলাদেশে ভ্রমণকারীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রেরর পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই সতর্কতা অবলম্বনের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক সভাসমাবেশ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। রাজনৈতিক সভাসমাবেশ ও বিক্ষোভের সংখ্যা ও উত্তাপ সামনে বাড়তে পারে। তাই বাংলাদেশে ভ্রমণকারীদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত’।
সতর্ক বার্তায় উল্লেখ করা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে অপরাধ ও সন্ত্রাস বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু এলাকা আগের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ সতর্কবার্তা জারি করা হয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, ভ্রমণকারীদের জনাকীর্ণ এলাকায় পকেটমারদের সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কোনো সতর্কতা ছাড়াই সন্ত্রাসী হামলা ঘটতে পারে। সন্ত্রাসীরা জনসমাগম এলাকা যেমন পর্যটন স্থান, পরিবহন কেন্দ্র, বাজার/শপিং মল, রেস্তোরাঁ, উপাসনালয়, স্কুল ক্যাম্পাস এবং সরকারি সেবা সংস্থাগুলোয় এসব হামলা করতে পারে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট আরও বলেছে, বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সমাবেশ এবং অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং বিক্ষোভের মাত্রা আরও বাড়বে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশে সফরকারীদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাদের মনে রাখা উচিত যে, শান্তিপূর্ণ সমাবেশও সংঘর্ষ-সহিংসতায় রূপ নিতে পারে।