আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভোট বানচালে সন্ত্রাসের পথ নিয়েছে বিএনপি। বিএনপি- জামায়াত নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, ক্ষমতায় গিয়ে দেশে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস ছাড়া কিছু দিতে পারেনি তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় সেদিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছয় জেলার নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন প্রান্ত থেকে এসব জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তিনি।
ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর ও শেরপুর জেলা; ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলায় আজ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। তখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি। নির্বাচনবিরোধী কাজ করে চলেছে বিএনপি। মা-শিশুকে এমনভাবে হত্যা সহ্য করা যায় না। এরা সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই, দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রাখুন যাতে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়। দলের নির্বাচনি ইশতেহার সব প্রার্থী পড়ে নেবেন এবং সেই অনুযায়ী ভোট চাইবেন। অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আছে এবারের নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হলো মানুষ পোড়ানো আর নির্বাচন ধ্বংস করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। এবারের নির্বাচন নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে অনেক চক্রান্ত হচ্ছে। তাই নির্বাচনি পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়; সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিএনপি সন্ত্রাসী, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
শেখ হাসিনা বলেন, ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে। ওই সন্ত্রাসীদের দল ওরা তো নির্বাচনে বিশ্বাসই করে না। তাদের দ্বারা কোনো কল্যাণ হবে না দেশে। সেই জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন করতে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নিবেন সবাই।
তিনি বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ পাবে; সেটাই প্রত্যাশা।
নির্বাচনি জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা, থানা, পৌর ও ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনি এলাকার দলীয় প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এর আগে ২১ ডিসেম্বর পাঁচটি এবং ২৩ ডিসেম্বর ছয় জেলার নির্বাচনি জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দেন।