নির্বাচন ঠেকানোর আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াত নাশকতা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ পাহারা দিতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ২০ ডিসেম্বর সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারণা শুরু। মাজার জিয়ারতের পর সমাবেশ হবে। এ ছাড়া ১৮ ডিসেম্বর বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত র‌্যালি হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচিয়ে রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে হবে। জনগণ যা চায় তাই করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে দুর্নাম হোক আমরা চাই না। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। বিজয়ের মাসে বিজয়ের চেতনা নিয়ে নব উদ্যমে নির্বাচনের বিজয়ের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে প্রতিবাদ ও সতর্ক পাহারায় থেকে নেতাকর্মীরা দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন বিরোধী শক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগামী দিনগুলোতে প্রতিহত করতে হবে। এই নির্বাচন সংবিধান রক্ষা করার নির্বাচন।’

আওয়ামী লীগ দেশের ইাতহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ করেছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি দলের বিশাল সমাবেশ দেখে বিএনপি হতাশ হয়েছে। তাই ২৮ তারিখে সন্ত্রাসের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিএনপির সমাবেশ সরকারি দল হামলা করে পণ্ড করেছে, এই অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশেপ্রণোদিত।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে দল সহ্য করবে না। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করা আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ পরাজয় মানে না। অবশ্যই, আওয়ামী লীগ বিজয় হবে। যারা মনোনয়ন পাননি, বঞ্চিত কর্মীদের সময় মতো নেত্রী মূল্যায়ন করবে।’

সারা পৃথিবীতে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালের আগে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ছিল না। ১৭ তারিখের মধ্যে সবকিছুর সমাধান হবে। এখনও শরীক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। যারা আইন ও সংবিধান মানে না, নির্বাচন নিয়ে তারা কি মন্তব্য করল তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই।’