বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকারের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনগন জেগে উঠতে শুরু করেছে । সরকারের নির্যাতনের জবাব জনগণ আন্দোলনেই দেবে।

আজ সোমবার (২৮শে নভেম্বর) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত সাবেক সংসদ সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খানের মরদেহ দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অত্যাচার-নির্যাতনে ইতোমধ্যেই এই চলমান আন্দোলনে আমাদের ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন, দুই জন আওয়ামী লীগের নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছেন। আর আজকে তাদের নির্যাতনে একজন সাবেক সংসদ সদস্যের জীবন চলে গেলো।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শাহজাহান খানের এই যে মৃত্যু, এটা আমরা পরিশোধ করতে সক্ষম হবো, জনগণ এর উপযুক্ত জবাব দেবে।’

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ধানমন্ডির ল্যাবএইডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহজাহান খান। গত ৪ নভেম্বর পটুয়াখালী থেকে বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে তেলিখালী এলাকা অতিক্রমকালে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আহতাবস্থায় এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭১ বছর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মৃত্যু কোনও স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তিনি বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে আক্রান্ত হযেছেন এবং তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে সেদিন আহত করা হয়েছিল।  আহত  হওয়ার পর তার কিডনি ফেটে যায়। তার সমস্ত শরীরে বিষাক্ত রক্ত আসে। আজকে সকালে তিনি মারা গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘শাহজাহান খানের মৃত্যু আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্য। আজীবন সংগ্রামী, ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা তার জনগণের কাছে একজন অভিভাবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন দেশনেত্রী  খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি।’