পাকিস্তানের সঙ্গী হয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করল রোহিত শর্মার দল। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে বৃষ্টি আইনে নেপালকে ১০ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে ভারত। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং শুবমান গিলের জোড়া ফিফটিতে ভর করে জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারতীয়রা। পাকিস্তানের সঙ্গী হয়ে তাই গ্রুপ ‘এ’ থেকে সুপার ফোরে চলে গেলে ভারত।

পাল্লেকেলেতে আগে ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ১০ উইকেটে ২৩০ রান সংগ্রহ করে নেপাল। জবাবে ভারতের সামনে বৃষ্টি আইনে ২৩ ওভারে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের ব্যাটে ভর করে সহজে জয় পায় ম্যান ইন ব্লুরা।

এদিন নেপালের দেওয়া ২৩১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ ওভার ১ বলে ভারত বিনা উইকেটে ১৭ রান করতেই ম্যাচে আবারও বৃষ্টির হানা দেয়। রোহিত শর্মা ৪ ও শুভমান গিল অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। এরপর পুনরায় ম্যাচ শুরু হলে রোহিতদের সামনে বৃষ্টি আইনে ২৩ ওভারে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড়ায়।
বৃষ্টির পর ভারতের প্রয়োজন হয় ২২৫ বলে ২২৮ রান হাতে ১০ উইকেট।

রোহিত, গিলরা বৃষ্টির পর মাঠে নেমে আক্রমণান্তক ভাবে ব্যাট চলাতে থাকেন। দুই জনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত এই দুই জন ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন। ভারত ১৭ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের জয় নিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিশ্চিত করে। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৭৪ রান। অন্যপ্রান্তে গিল করেন ৬২ বলে ৮ চারে ১ ছয়ে অপরাজিত ৬৭ রান।

এর আগে, পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত। ম্যাচের পাঁচ ওভার না গড়াতেই সহজ তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া করে ভারতের ফিল্ডাররা। রোহিত শর্মাদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগটুকু অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি নেপাল।

দলীয় ৬৫ রানে নিজেদের প্রথম উইকেট হারানোর পর ১০১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এর মধ্যে কুশাল ভুর্তেল ৩৮ রান ছাড়া বাকি ৩ জন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। ৩ জনকেই বিদায় করেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।

একপ্রান্ত আগলে রেখে আসিফ শেখ ফিফটি তুলে নেন। ৯৭ বলে ৫৮ রান করে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। শেষদিকে গুলশান ঝার ২৩, দিপেন্দ্র সিংয়ের ২৯ এবং সাম্পাল কামির গুরুত্বপূর্ণ ৪৮ রানের ইনিংসে মোটামুটি পুঁজি পায় নেপাল। ভারতের পক্ষে সিরাজ ও জাদেজা ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া শামি, হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দূল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।