নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ১৯ যাত্রী ও তিনজন ক্রুর মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ব্ল্যকবক্সটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে একথা নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় এক উদ্ধারকর্মী জানান, পর্বতের গাইড ও নিরাপত্তা কর্মর্কর্তারা বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে ব্ল্যকবক্সটি বের করে নিয়ে এসেছেন।

সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি নেপালের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ বলেছেন, ‘ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, যাকে বিমানের ব্ল্যাকবক্সও বলা হয়; সেটি দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্ল্যকবক্সটিকে রাজধানী কাঠমান্ডুতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

২২ আরোহী নিয়ে ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা-ডিএইচসি-৬-৩০০ টুইন অটার বিমানটি রোববার নেপালের পর্যটন নগরী পোখরা থেকে জমসম বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের ১৫ মিনিট পরই সেটি বিধ্বস্ত হয়।

পোখরা বিমানবন্দর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোখরা থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও তীর্থস্থান জমসমে যাচ্ছিলেন আরোহীরা। মাত্র ২০ মিনিটেই তাদের জমসমে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কিন্তু উড্ডয়নের পর এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার নেপাল-চীন সীমান্তে মাউন্ট ধুলাগিরি অঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। এরপর থেকে উড়োজাহাজের ২২ আরোহীর সবার মৃতদেহও উদ্ধার হয়েছে।