নেপালে ভয়াবহ তুষারধসে সাত পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) দেশটির পূর্বাঞ্চলের ইয়ালুং রি পর্বতচূড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অভিযান সংগঠক প্রতিষ্ঠান ড্রিমার্স ডেসটিনেশন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন ইতালির নাগরিক, একজন জার্মান, একজন ফরাসি এবং দুইজন নেপালি রয়েছেন। খবর বিবিসির
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ফুরবা তেনজিং শেরপা মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমি নিজ চোখে সাতজনের মরদেহ দেখেছি। তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে ইয়ালুং রি পর্বতের বেস ক্যাম্পে (উচ্চতা ৫ হাজার ৬৩০ মিটার বা ১৮ হাজার ৪৭১ ফুট) ১২ জন পর্বতারোহীর ওপর তুষারধস নেমে আসে।
ডোলাখা জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা গিয়ান কুমার মাহাতো জানান, মঙ্গলবার সকালে হেলিকপ্টারে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে দুইজন ফরাসি ও দুইজন নেপালি নাগরিক রয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ সকালে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে এসেছে।
নেপালে বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ পর্বতের মধ্যে আটটি অবস্থিত। প্রতি বছর দেশটিতে শত শত পর্বতারোহী ও ট্রেকার অভিযানে অংশ নেন। শরৎকাল হিমালয়ে অভিযানের দ্বিতীয় ব্যস্ততম মৌসুম হলেও এ সময় তীব্র শীত, ছোট দিন এবং তুষারে আচ্ছাদিত পথচলা অভিযানকে কঠিন করে তোলে।
এর আগে, গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’র প্রভাবে নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত হয়। এতে অনেক পর্বতারোহী ও পর্যটক হিমালয়ের জনপ্রিয় রুটগুলোতে আটকা পড়েন।
এদিকে, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি দুর্গম পর্বতে আরোহণের সময় আরও দুইজন ইতালীয় পর্বতারোহী নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে নেপালের পর্যটন কর্তৃপক্ষ।
হিমালয়ান ডেটাবেসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নেপালের বিভিন্ন পর্বতে অন্তত এক হাজার ৯৩ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই তুষারধসের শিকার।












