চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সারা দেশে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট। এ কারণে বন্দরে বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বহিনোঙরে ২০টি বড় জাহাজে আটকা পড়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ টন আমদানি পণ্য।
আর বর্হিনোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন নৌপথে যাওয়ার সময় আটকে আছে ৭৭০টির মতো লাইটারেজ জাহাজ, যেগুলোতে রয়েছে ১০ লাখ টনের মতো বিভিন্ন পণ্য। বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, “লাইটারেজ জাহাজটিতে সাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃতি কারণ উদঘাটন, অপরাধী যারাই হোক তাদের গ্রেপ্তার, নৌপথে সার্বিক নিরাপত্তা এবং নিহত প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে আমরা এই ধর্মঘট করছি।”
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মবিরতি চলবে বলেছেন তিনি। তবে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান এ কর্মবিরতির আওতামুক্ত আছে।
সোমবার বিকালে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে এমভি ‘আল বাখেরা’ জাহাজ থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গুরুতর আহত আরও তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার জেরে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিও তুলেছেন নৌযান শ্রমিকরা। তাদের দাবি আদায়ের ধর্মঘটে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও বরিশাল বন্দরে পণ্য উঠানো নামানো বন্ধ আছে।