বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দুই দেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ নিয়ে কথা বলেছেন।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরগরম চলছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি সর্বগামী। এই সম্পর্ক এমনই থাকবে।
দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপ্তি ও গভীরতার কথা উল্লেখ করে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, এই সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। অর্থনীতির সর্বত্র এর ব্যাপ্তি। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন, যোগাযোগ—সব ক্ষেত্রেই সম্পর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগও বেড়ে চলেছে। জীবনের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে দুই দেশের সম্পর্কের ছোঁয়া পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, এই সম্পর্ক প্রাণবন্ত। দুই দেশের এই সম্পর্ক আগামী দিনেও এমনই থাকবে।
বয়কটের ডাকের ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে টান পড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব অবশ্য মুখপাত্র দেননি। এ কথাও বলেননি, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত এই বিষয়ে কথা বলেছে কি না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র অনুযায়ী, ভারতীয় পণ্য বর্জনের এ আহ্বানকে নয়াদিল্লি আমলই দিচ্ছে না।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তাদের (বিএনপি নেতা) স্ত্রীদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে এবং সেগুলো কেন পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ভারত থেকে গরমমসলা, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা আমদানির কথা তুলে এগুলো বিএনপি নেতারা রান্নায় ব্যবহার করবেন কি না, সে প্রশ্নও তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।