পদত্যাগ করছেন নিউজিল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন (৪২)। আগামী মাসে পদত্যাগ করবেন মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়া জেসিন্ডা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ (বৃহস্পতিবার) জেসিন্ডা এই ঘোষণা দিয়েছেন।

পদত্যাগর ঘোষণা দিয়ে আরডার্ন বলেন, গ্রীষ্মের ছুটিতে ভবিষ্যত বিবেচনা করার জন্য সময় নিয়েছিলাম। আমি আশা করেছিলাম যে সেই সময়ের মধ্যে একটি সমাধান আমি খুঁজে পাব, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমি তা পাইনি।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এ অবস্থায় আমার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাসিন্ডার শেষ কর্মদিবস হবে আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি। এরপর নিউজিল্যান্ড লেবার পার্টিতে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচনে ভোট হবে। দেশটির পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী ১৪ই অক্টোবর।

তিনি কোভিড-১৯ মহামারী, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ গুলি এবং হোয়ইট আইল্যান্ড আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খারাপ পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে ঠিক কী কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন তা জানাননি। ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বমন্দার কারণে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতার জেরে পদত্যাগ করছেন তিনি।

এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা আরডার্ন হারিয়েছেন ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ৫৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচন। করোনাভাইরাস মহামারি সফল ব্যবস্থাপনার কারণে জেসিন্ডা দ্বিতীয় মেয়াদে জয় পান।

১৯৯৬ সালে মিক্সড মেম্বার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেনটেশন (এমএমপি) নামে পরিচিত একটি সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে কোনো দলই সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।