পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। বৃহস্পতিবার (২০শে অক্টোবর) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে ট্রাস বলেছেন, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছেন।
ক্ষমতাগ্রহণের মাত্র ৪৪ দিন যেতে না যেতেই সরে দাঁড়ালেন তিনি। লিজ ট্রাসের প্রশাসনের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে নজিরবিহীন তোলপাড় চলছিল। নিজ দলের বেশ কিছু এমপি তার পদত্যাগ দাবি করছিলেন। এর মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন তিনি। ব্রিটেনের রাজনৈতেক ইতিহাসে লিজ ট্রাস সবচেয়ে স্বল্প স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে নিজের পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে না পারায় সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি স্বীকার করছি… যে প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা দিতে পারবো না। ট্রাস বলেন, তিনি বিশাল অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীলতার সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হন মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে, কিন্তু তার পর থেকেই তার সরকারের আর্থিক কর্মসূচি নিয়ে তীব্র বিতর্ক-বিবাদ চলছে – এবং এ পর্যন্ত তার দু’জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, আর প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্তত ১৩ জন এমপি। তারা আলাদা আলাদাভাবে বিবৃতি দিয়ে ট্রাসকে ক্ষমতা ছাড়তে বলেছেন।
এর আগে বুধবার মন্ত্রীপরিষদের নীতি ভঙ্গের দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান। তিনিও পদত্যাগের আগে আকার ইঙ্গিতে লিজ ট্রাসকে পদত্যাগ করতে বলেন।
এর আগে মাত্র এক সপ্তাহ আগে অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কাওয়ারতেংকে বরখাস্ত করেন লিজ ট্রাস। এটির রেশ না কাটতেই পদত্যাগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরই সংকটে পড়ে যায় লিজ ট্রাসের প্রধানমন্ত্রিত্ব।