রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রুপদী মুর্মুর সাথে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার (৫ জুন) রাষ্ট্রপতি তার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
আগামী শনিবার তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে পারেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এডিটিভিসহ বেশ কটি সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। ২০১৪ ও ২০১৯-এর মতো এবার নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। তবে জোট হিসেবে গরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএর।
৫৪৫ আসনের (দুটি মনোনীত আসন) লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭৩টি। বিজেপি এককভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ২৯২টি আসন।লোকসভা আসনের সংখ্যার হিসাব বলছে, সব কিছু ঠিক থাকলে কেন্দ্রে সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ।
প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদি। শনিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন তিনি। এবার মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে জওয়াহেরলাল নেহরুর পরে তিনিই হবেন দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি পর পর তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর্যালোচনা করতে বুধবার বৈঠকে বসেন মোদি। সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হয়।
এটিই ছিল দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিপরিষদের শেষ বৈঠক। সেখানে শনিবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।জানা গেছে, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান প্রথমে ৯ জুন হতে পারে বলে ঠিক হয়েছিল। তবে পরে ওই দিন বদলে শনিবার করা হয়।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ঝুলিতে গেছে ২৩৩টি আসন। আগের বারের চেয়ে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কংগ্রেসের। এই লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতিতে পুনরুত্থান হয়েছে দলটির। তারা পেয়েছে ৯৯টি আসন।
বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালে ৪৪টি এবং ২০১৯ সালে ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে রাহুল গান্ধীর দল।