আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা রেল সেতু। এদিন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চলাচলও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এই রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলেছে। উদ্বোধনেরসপ্তাহখানেক পর পদ্মা রেল সেতুর ওপর দিয়ে বাণিজ্যিক ট্রেন চলবে।
পদ্মা সেতুর ওপর যান চলাচল শুরু হয়েছে আরও এক বছরেরও বেশি আগে। তবে দোতলা এই সেতুর নিচ তলা দিয়ে ট্রেন চলাচলের অপেক্ষায় ছিলো দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মানুষ।
এবার পূরণ হতে চলেছে সেই স্বপ্ন। পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। ওপরে গাড়ি আর নিচে ট্রেন। পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সময় এমন দুর্লভ দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছে দেশের মানুষ। তবে এবার সেই ট্রেনে চড়ে পদ্মা পাড়ি দেবার অপেক্ষায় যাত্রীরা।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অংশটি আগামীকাল ১০ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগেই আগামীকাল ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়। এই অংশের কাজ ৯৭.৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। তবে পুরো যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের বাকি অংশ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, এর আগে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছে। এবার ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। এর জন্য চীন থেকে কেনা নতুন সাতটি কোচের সমন্বয়ে একটি বিশেষ ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে পরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৯৭.৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখনো শুধু কিছু স্টেশন ও সিগন্যালিংয়ের কাজ বাকি আছে। তাই আগামীকাল ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে জুনের মধ্যে শেষ হবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।