সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সার্বজনীন পেনশন বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি সরকার খুবই সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নেতাদের এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা জানান।
এসময় তিনি বলেন কোটা সংস্কারের আন্দোলনে আজ কর্মসূচি না দেয়ায় এবং আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগকে স্বাগত জানায় সরকার।
তিনি বলেন সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার।
সব পক্ষের মতামত শুনে আদালত একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিবে সেটিই প্রত্যাশা তার। সেই পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য ধারণের আহবান জানান তিনি।
এসময় তিনি জনদুভোর্গ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পালন না করার আহবান জানিয়ে বলেন কোনপ্রকার উস্কানিতে যেন কেউ পা না দেয় সেজন্য সতর্ক করছি। ছাত্রলীগকে সতর্কভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলেন তিনি।
শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে বলেন তাদের সাথে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হয়েছে। এটা জটিল সমস্যা না। আশাকরি দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অরাজনৈতিক। এই অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপি এবং তাদের সমমনাদের সমর্থন দেয়া নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। অশুভ মহলটি উস্কানি ও ইন্ধন যুগিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে যেন না পারে সেজন্য সারাদেশে সতর্ক থাকতে হবে। আগের মতো এবারও তারা আন্দোলনে ভর করতে চাচ্ছে। কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে সরকার হটানোর দুরভিসন্ধি বিএনপির।
পরে প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয় আইনগত, রাজনৈতিক না। বিএনপি সবকিছুতে রাজনীতি খোঁজে। তারা আইনি যুদ্ধে ব্যর্থ।