পলাতক থাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াই করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।  আজ (সোমবার) অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন এতথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল বিচারিক আদালতে বিদেশ থেকে আইনী লড়াই চালিয়ে যেতে আবেদন করেন তারেক ও তার স্ত্রী। এ বিষয়ে ১৩ এপ্রিল তারিখ আদেশ দেবে আদালত। রোববার (৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো: আছাদুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল।

এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, জ্ঞাতআয়বহির্ভুত মামলায় পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিতে পারবেন না।

আপিল বিভাগ এক রায়ে বলেছেন, হাইকোর্টে পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনজীবী ছিলো যেটা অনুচিত। হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে আদেশ দেয়া উচিত ছিলো। পলাতক আসামিদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় আইনী লড়াইয়ের সুযোগ নেই। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য।

উল্লেখ্য, এ মামলায় ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। এরপর ২০০৮ সালে এই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এদিকে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসাথে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।