বাংলাদেশ এখন ৪০৯ বিলিয়ন ডলারের ইকোনমি। নতুন ভিত্তি বছরের শুরু হয়েছে। ২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর বাদ দিয়ে এখন ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর করা হয়েছে। এতে কৃষিখাতে ২২ টা নতুন ফসল এই হিসাবে যুক্ত হয়েছে। শিল্প খাতে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প, কোল্ড স্টোরেজ হিসাবে আনা হয়েছে।
সেবা খাতে মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, বেসরকারি স্বাস্থসেবা খাত, রাইড শেয়ারিং, বেসরকারি পরিবহন ব্যাবস্থা হিসাবে যুক্ত হয়েছে যা ২০০৫-০৬ এর হিসাবে ছিল না। তবে অনেক খাত মনে হয় এখনো হিসাবের বাইরে রয়েছে। যেমন অনলাইন মার্কেট প্লেস। মাথাপিছু আয় এখন ২,৫৫৪ ডলার যা পুর্বের হিসাবে ছিল ২,২২৭ ডলার। নতুন ভিত্তি বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির হিসাব কমেছে।
আবার মানুষ আগের থেকে বেশি গরীব হয়েছে এক অর্থে। কারন স্থানীয় সঞ্চয় ২৭.২৭% থেকে কমে ২৬.৭১% হয়েছে। অর্থাৎ জীবন যাত্রার মান ঠিক রাখতে মানুষকে বেশি খরচ করতে হচ্ছে ফলে সঞ্চয় কমে গেছে। আবার শিল্প খাতের অবদান এখন ৩২.৫% থেকে বেড়ে ৩৫.১% হয়েছে। কৃষিখাতের অবদান কমেছে। ১৪.১% থেকে কমে ১২.২% হয়েছে।
সেবা খাতের অবদান কমে ৫২.৪% হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতের ভিত্তিবছর ২০১১-১২, পাকিস্তান এখনো পরিবর্তন করে পারেনি। তাদেরটা আমাদের মত ২০০৫-০৬ রয়ে গেছে। যদি তারা পরিবর্তন করে তবে তাদের আকার বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ এখন ভারতের মহারাষ্ট্রের ($৩৭০ বিলিয়ন)থেকে বড় ইকোনমি । অর্থাৎ ভারতের কোন রাজ্যের SGDP এখন বাংলাদেশ থেকে বেশি নয়। সব রাজ্যই সেটা বাংলাদেশের থেকে আকারে এবং জনসংখ্যায় বেশি হোক অথবা কম, অর্থনীতির আকার বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে কম।
পশ্চিমবঙ্গের সাথে অর্থনীতির আকারে পার্থক্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮০ বিলিয়ন ডলার আকারের পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় দ্বিগুনের বেশি বড় ইকোনমি এখন বাংলাদেশ। ভারতে কিন্তু মদের ব্যাবসার বৈধতা আছে। মানে জিডিপির হিসাবে মদের অবদান রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি নেই। যদিও আংশিক বৈধ ও অবৈধ হিসাবে এই খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকার কম লেনদেন হয় বলে মনে হয়না।