পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনা বটমূলসহ গোটা এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গোটা এলাকায় প্রায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। সবমিলিয়ে থাকবে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অংশগ্রহণকারীদের ব্যাগ বহন না করার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার জানান, লোক সমাগম বেশি হলে আশেপাশের রাস্তায় ডাইভারশন দেয়া হবে। আসছে নববর্ষকে ঘিরে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে করতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ রাজধানীর যেসব স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় সেসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত চেকপোস্ট টহল, অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। উড়োচিঠির হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
আদালতপাড়া থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১০ জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছি। পলাতক জঙ্গিরা নজরদারিতে, তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সরাসরি কোনো জঙ্গি থ্রেট বা হুমকি নেই।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি বাঙালি হিসেবে মনে করি, দুই-একটা বোমা দিয়ে দমন করা যাবে না। ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনী তাদের দোসররা কামান-বন্দুক নিয়ে এই বাঙালিদের দমন করতে পারেনি। আর কোথাকার কোন জঙ্গি একটা-দুইটা বোমা মেরে আমাদের দমন করবে আমরা ওই রকম ভীতুর জাতি নয়। আমরা বীরের জাতি। কোনো জঙ্গি, কোনো শকুন আমাদের প্রতি নখ দেখাবে আমার সেই জাতি নয়। এরপরও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কেউ কোনো ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারবে না’।