পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভারী বর্ষণের পর সৃষ্ট এই দুর্যোগের খবর নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের অনলাইন সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গিলগিত বালতিস্তান, আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকটি এলাকা এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজুর জেলায় টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। গিলগিত বালতিস্তান সরকারের মুখপাত্র ফয়জুল্লাহ ফারাক জানিয়েছেন, ঘিজার জেলার খালথি উপত্যকায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারী। এছাড়া সেখানে তিনজন এখনো নিখোঁজ, যাদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
জিবি সরকারের মুখপাত্র ফায়জুল্লাহ ফারাক জানান, ঘিজারের খালথি উপত্যকায় এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অর্ধ ডজনেরও বেশি বাড়ি। তিনজন এখনো নিখোঁজ এবং উদ্ধারকারী দলগুলো অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ডায়ামের বনার এলাকায় ভাই ও বোন প্রবল স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে, আর বাবুসর সড়কে ভূমিধসে এক শিশু আহত হয়েছে।
ঘিজারের ইয়াসিন থোই এলাকায় আকস্মিক বন্যায় ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, পানির ট্যাংক ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিধসে বালতিস্তান ও সাদপাড়া সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ডায়ামের থোর ও আস্তোর উপত্যকাতেও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।কোহিস্তানে বন্যায় করাকোরাম মহাসড়কের একটি সেতু ধ্বংস হয়ে জিবি ও দেশের বাকি অংশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
জিবি সরকার বিভিন্ন এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করে জিবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও রেসকিউ ১১২২–কে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। ফারাক বলেন,‘এটি গিলগিট-বালতিস্তানের জন্য কঠিন সময়। সরকার সব ধরনের সম্পদ কাজে লাগাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায়।’