পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি কাউন্টার টেররিজম অফিসে দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জনের প্রাণ গেছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) খাইবার পাখতুন খোয়া প্রদেশে দুর্ঘটনায় আহত ৫০ জনের বেশি। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে বিবিসি।
নিহতদের বেশির ভাগ কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের কর্মকর্তা। দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পুলিশ বলছে, হামলার কোনো প্রমাণ নেই। বৈদ্যুতিক ত্রুটির ফলে গোলাবারুদ জ্বলে যাওয়ার ফলে এটি হতে পারে।
সোয়াত উপত্যকায় ২০০৯ সালে বিতাড়নের আগ পর্যন্ত এই উপত্যকা ইসলামপন্থি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, গোলাবারুদে আগুন ধরে যায়। খুব সম্ভবত ইলেকট্রিক শর্ট-সার্কিট থেকে হতে পারে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে হামলার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানি তালিবান গোষ্ঠী কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেনি।
কাউন্টার টেররিজম বিভাগের আঞ্চলিক প্রধান সোহাইল খালিদ রয়টার্সকে বলেন, বিস্ফোরণগুলো সন্ত্রাসবাদী কাজ বলে মনে হয়নি।
তিনি বলেন, একটি গুদাম ছিল যেখানে অনেক পরিমাণে অস্ত্র ছিল। এখন পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস, অসতর্কতার কারণে বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা আমাদের সব বিকল্প খোলা রাখছি।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ প্রাথমিকভাবে এই বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী হামলা বললেও পরে তিনি টুইট করে জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃতি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।