পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে এ পর্যন্ত যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে তাতে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার গঠন করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। যদিও এই দুই দলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
ভোটগণনার ফলাফলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি এখনও। তার আগেই হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করেছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির জোট গড়ায় পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবেন তারা।
পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও পিএমএল-এনের মধ্যে। যদিও আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআই দল হিসেবে নির্বাচন করতে পারেনি। এই দলের সমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে পিটিআই ও পিএমএল-এন—দুই দলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে। এ পরিস্থিতিতে জোট গড়ে ক্ষমতায় যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন নওয়াজ শরিফ।
পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ও তাঁর বাবা পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। এ সময় শাহবাজ শরিফ ‘পাকিস্তানের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে’ পিপিপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহসিন নাকভির বাড়িতে এই বৈঠক হয়। বৈঠক–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজের খবরে বলা হয়, বিলাওয়াল ও আসিফ জারদারির সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠকে জোট বেঁধে কেন্দ্রে ও পাঞ্জাবে সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।