পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ২৮ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা এক হাজারের বেশি ছাড়িয়েছে। ভারী বৃষ্টির ফলে সিন্ধু প্রদেশে আবারও বন্যা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার করছে পানিবন্দি মানুষেরা। এদিকে, আফগানিস্তানে বন্যায় ভূমিধসের পরিমাণ বেড়েছে। পাহাড়ের উপত্যাকায় আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে খরা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিদিনই বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে পাকিস্তানের নতুন নতুন জেলা ও শহর। সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মনু উপত্যকায় শুক্রবার থেকে আটকা পড়েছে শত শত মানুষ। সাহায্যকারী দলের দিকে চিরকুট ছুঁড়ে সাহায্যের আবেদন করছে পানিবন্দি বাসিন্দারা। হেলিকপ্টারযোগে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অব্যাহত রয়েছে উদ্ধার অভিযান।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেশটির সিন্ধু প্রদেশে নদীর পানি বেড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে আবারও বন্যা দেখা দিবে বলে সতর্র্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। সারাদেশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আরও আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেছে পাকিস্তান।
আফগানিস্তানে বন্যা ও ভূমি ধসে ধ্বংস হয়ে গেছে ২০ হাজার ঘরবাড়ি। প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২’শ জনে। পাহাড়ের উপত্যাকায় আশ্রয় নিয়েছে খুশি জেলার হাজারো গৃহহীন মানুষ। ফসলি জমি নষ্ট হওয়ায় খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপিতে বন্যার পানি সর্বোচ্চ ৩৬ ফুট পর্যন্ত বাড়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্র্তৃপক্ষ।
এদিকে, ইউরোপের দেশ জার্মানি ও সার্বিয়ায় খরায় নদীর পানির স্তর নীচে নেমে গেছে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। সার্বিয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।