জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে চলমান তুমুল উত্তেজনার মাঝেই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাতে ওই সীমান্তে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৭ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। একদিন আগেই একই সীমান্তে কমপক্ষে ৫৪ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত নর্থ ওয়াজিরিস্তান জেলার হাসান খেল সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ধারাবাহিক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী কমপক্ষে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাসান খেল সীমান্ত এলাকায় চলমান অভিযানের ধারাবাহিকতায় রোববার রাতেও অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এর আগে দুদিনের অভিযানে ৫৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর রোববার ও সোমবারের অভিযানে নতুন করে আরও ১৭ সন্ত্রাসী নিহত হন।

আইএসপিআর দাবি করেছে, নিহত সন্ত্রাসীরা ‘তাদের ভারতীয় প্রভুদের’ নির্দেশনায় পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। প্রতিবেশী দুই দেশের এই সীমান্তের বিশাল অংশ উন্মুক্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রায় অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার সীমান্তে দিয়ে পাকিস্তানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৮ সন্ত্রাসী নিহত হন।