তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশ আজকে বহুদূর এগিয়ে গেছে। যে পাকিস্তান থেকে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সে পাকিস্তান এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। অর্থনীতি সূচক, মানবিক সূচক, সামাজিক সূচক সমস্ত সূচকে আমরা আজ পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আলোক উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের কথা পাকিস্তানও স্বীকার করে। আমাদের দেশের অনেকে স্বীকার না করলেও পাকিস্তান স্বীকার করে। জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তিনিও প্রশংসা করেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অন্যদের জন্য পথ প্রদর্শক। আর এই বিষয়গুলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা দরকার। নতুন প্রজন্ম যেন স্বপ্ন দেখে। সে স্বপ্নটা শুধু নিজের জন্য নয়। সেই স্বপ্নটা দেশের জন্যও দেখে। তাদের সে স্বপ্ন দেখাতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। খলনায়কদের নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও অপচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমি আশা করব জাতির স্বার্থে ইতিহাসের স্বার্থে ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটি শিশুকিশোরদের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু, রংধনু গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আহমেদ অপু, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নূরুল ইসলাম হাসিব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া শারমিন প্রমুখ।