পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদে বিরোধী জোটের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে প্রধানমন্ত্রী হারিয়েছেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেন, এ অনাস্থা প্রস্তাব বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ। একটি বিদেশি রাষ্ট্রের (যুক্তরাষ্ট্রের) ‘হুমকির চিঠির’ সঙ্গে এর যোগসূত্র রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল বাবর ইফতিখার বৃহস্পতিবার বলেন, গত মাসে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে ‘ষড়যন্ত্র’ শব্দটি ছিল না।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এ বক্তব্যের সঙ্গে ‘একমত’ পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) যে বিবৃতিতে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার সঙ্গে একমত।
শুক্রবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নেড প্রাইস বলেন, এ বক্তব্যের সঙ্গে আমরা ‘একমত’।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক নীতি এবং শান্তিপূর্ণভাবে সংবিধান পালন সমর্থন করি। পাকিস্তান কিংবা বিশ্বের কোথাও আমরা একটি রাজনৈতিক দলের ওপর আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। যুক্তরাষ্ট্র আইনের শাসন এবং সমান ন্যায়বিচার সমর্থন করে।
পাকিস্তানের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে শান্তি এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: ডন