কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা। রয়েছে বিদেশি মুদ্রা আর স্বর্ণালঙ্কারও। শনিবার সকালে মসজিদের দানবাক্সো খুলে এগুলো পাওয়া যায়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গণনা চলছে।
মানুষের দানের বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ায় বার বার সংবাদের শিরোনাম হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ।
প্রতি ৩ মাস পরপর খোলা হয় পাগলা মসজিদের দানবাক্সো। এবার ৩ মাস ১৩ দিনের মাথায় খোলা হয়েছে মসজিদের ৮টি দানবাক্সো। যেখান থেকে মিলেছে ২৩ বস্তা টাকা। যা এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে বেশি। আছে, স্বর্ণ-রৌপ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা।
প্রশাসনের উপস্থিতিতে মসজিদের মেঝেতে রেখে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চলছে গণনা। মূলত মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। সেই বিশ্বাস থেকে দান করেন স্থানীয় থেকে শুরু করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন।
দান থেকে পাওয়া অর্থ এই মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
এর আগে গেল ৬ই মে সবশেষ খোলা হয়েছিলো পাগলা মসজিদের দানবাক্স। সেসময় ৮টি দানবাক্স থেকে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিলো। টাকার পরিমাণ ছিলো ৫ কোটি ৫৯ লাখ।