পাবনা জেলায় জহুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ডাক বাবু (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (০৮ জুন) রাতে জেলা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ নতুন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছেন, তিনি গয়েশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, নিহতের দলীয় পরিচয় এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। তবে তিনি আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত কর্মী। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি করছি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জহুরুল হক ব্যক্তিগত কোনো কাজে পাশের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামে যান। কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে তিনি গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় পাঁচ থেকে সাত জনের একদল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি ছোড়ে পালিয়ে যান। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার বিষয়ে গয়েশপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতার হোসেন মুতাই বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এরআগে বাবুর দুই ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে স্থানীয় দুটি গ্রুপ আছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তিনি এরআগে ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে কার্যকরী সদস্য ছিলেন। যারাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটাক তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।