বাংলাদেশে পাম অয়েল রফতানি বহুমুখীকরণ এবং পাম অয়েলের মূল্যসংযোজন সংক্রান্ত শিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাতে মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমোডিটিস মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন এ আগ্রহের কথা জানান।

মঙ্গলবার পুত্রজায়ায় তাদের সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালামপুর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। সাক্ষাতে দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন মালয়েশিয়ার পাম অয়েল খাতের বিকাশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে পাম অয়েলের বাজার সম্প্রসারণে মালয়েশিয়া আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিত্র মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন হাইকমিশনার।

হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সরকার দেশে মোট ১০০টি ইকনোমিক জোন এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এসব ইকনোমিক জোন ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে।

মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড কমোডিটিস মিনিস্টার দাতুক হাজাহ জুরাইদা কামারউদ্দিন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করবেন বলে হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

নারীর ক্ষমতায়ন, মালয়শিয়ায় প্ল্যান্টেশন সেক্টরে নিয়োজিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা, দুদেশের মধ্যে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি সইয়ে নেগোসিয়েশন শুরু করা বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, কাউন্সেলর (বাণিজ্যিক) মো. রাজিবুল আহসান, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) রুহুল আমিন এবং মালয়েশিয়ার মিনিস্ট্রি অব প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রিজ ও কমোডিটিসের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।