পার্বত্য অঞ্চলে বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে মহাসড়ক, উপসড়ক, কাঁচা রাস্তা ও বাঁধের ক্ষতচিহ্ন। কালভার্ট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকা। ঢল আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামীণ জনপদে নষ্ট হয়েছে কৃষকের বীজতলা, ফসলের মাঠ, মাছের ঘের ও বেড়িবাঁধ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। ক্ষতির মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন।

এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে হাজারো মানুষ। পানিবদ্ধ জায়গাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেশি বিপর্যস্ত পর্যটন নগরী বান্দরবান। রুমা উপজেলায় সড়কে বিভিন্ন অংশে পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক মেরামত ও বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী।

বন্যায় এ জেলায় নষ্ট হয়েছে সাড়ে আট হাজার হেক্টর ফসলি জমি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজার বসতঘর। রাঙ্গামাটির বরকল-বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন। চট্টগ্রামে পানি নেমে গেলেও কমেনি দূর্ভোগ। কক্সবাজারের ৬০টি ইউনিয়নের পাঁচ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় বেশি ক্ষতি হয়েছে।

চকরিয়া এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়াসংলগ্ন এলাকায় রেললাইনটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, বন্যায় চকরিয়া, পেকুয়া, রামু এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশের বেশকিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এখনো ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। বন্যায় রেললাইনের পাথর, মাটি ও বাঁধ ভেসে গেছে। কিছু অংশে রেললাইন হেলেও পড়েছে। এ ক্ষতির কারণে প্রকল্প শেষ হতে দেরি হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।