পাহাড়ে রক্তপাত, হানাহানি  বন্ধে যা করা প্রয়োজন সরকার তার সব কিছুই করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুরে, রাঙামাটি শহরের সুখীনীলগঞ্জে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পার্বত্য আঞ্চলিক দপ্তর ও  তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের মানুষদের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী তাদের পাশে থাকবে। তাই আপনারা সবভাবে প্রতিরোধ করুণ, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আমাদের জানান। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও যারা রক্তপাত ঘটাচ্ছে তাদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি ঘোষণা দিয়ে বলতে চাই, পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধের জন্য চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টেলিজেন্স বাড়াবো, আমাদের যা যা করার দরকার আমরা তার সব করবো।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির আলোকে পাহাড়ের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় আর্মড পুলিশের এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পাহাড়ের যেসব ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেসব ক্যাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে সম্ভাবনাময় এলাকা হিসেবে যে চিন্তা করেছি সেটি আমরা বানিয়ে ছাড়বো। আমরা পৃথিবীতে দেখিয়ে দিবো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে; পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারাও পিছিয়ে নেই।’

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙামাটিতে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের আঞ্চলিক দপ্তর ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পুলিশ প্রধান বেনজির আহম্মদ, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।