পিকে হালদার অর্থপাচার করে বিশ্বের কোন কোন দেশে রেখেছেন এবং তার মামলার তদন্তের সবশেষ অগ্রগতি জানাতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার(১৭ই মে) সকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. কাজী ইজারুল হক আকন্দের দ্বৈতবেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে হাইকোর্ট রুলের শুনানিতে বলেন, পিকে হালদারের বিষয়ে এমন আদেশ দেয়া হবে, যাতে পৃথিবীর কোন দেশেই তিনি শান্তিতে থাকতে না পারেন। পরে তাকে দেশে ফেরাতে জারি করা রুল শুনানির দিন ঠিক করেন উচ্চ আদালত। আগামী ১২ই জুন পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিকে, ভারতে আটক পিকে হালদারের তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দেশটির তদন্তকারী সংস্থা। তাকে আজ আবারও কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তুলে আরো ১৪ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। অবশেষে শনিবার (১৪ মে) অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
উল্লেখ্য, পি কে হালদার দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।












