বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত পিকে হালদারের বিচার বাংলাদেশ ও ভারতের আদালতে একসঙ্গে হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। শুক্রবার সকালে মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। দুদক কমিশনার বলেন, ভারতে গ্রেফতার হওয়া পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এদিকে, পিকে হালদারকে ১১ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। দেশটির আর্থিক তদন্ত সংস্থা ইডি’র আইনজীবী ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করলে আদালত ১১ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেন। ১০ দিনের জিজ্ঞাশাবাদ শেষে শুক্রবার পিকে হালদার ও তার ভাই প্রাণেশ হালদারসহ আটক পাঁচজনকে কলকাতার একটি আদালতে তোলা হয়। আগামী ৭ জুন তাদের ফের আদালতে হাজির করা হবে।

উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে পি কে হালদারসহ তার সহযোগীরা বেআইনি ব্যবসা চালু করে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ মে পি কে হালদারসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

পরে পি কে হালদারসহ ৫ জনকে আদালতে তোলা হলে প্রথমে ৩ দিনের ও পরে আরও ১০ দিনের হেফাজতে নেয় ইডি। গ্রেফতারদের ছয়জনের কাছ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকাসহ বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

হেফাজতে থাকাকালীন ইডি অনেক তথ্যই সংগ্রহ করতে পেরেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গ্রেফতারের পর তাদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় সংস্থাটি।

ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনো প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ করা হবে না। কলকাতাতেও প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বিপুল টাকার উৎস জানাতে পারেনি তারা।